ইমাম আবু হানীফা (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, ‘হাদীস যেটা সহীহ, সেটাই আমার মাযহাব’। (রাদ্দুল মুখতার ১/১৫৪; মুকাদ্দিমাতু উমদাতুর রিয়ায়াহ ১/১৪; হাশিয়াতু ইবনু আবেদীন ১/৬৩)

ইমাম মালেক (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, ‘আমি নিছক একজন মানুষ। ভুল করি, শুদ্ধও করি। তাই আমার মতামতকে যাচাই করে দেখে নিও। কুর’আন ও সুন্নাহর সাথে যতটুকু মিলে সেটুকু গ্রহণ করো, আর গড়মিল পেলে সেটুকু বাদ দিয়ে দিও’। (ইকাযুল হিমাম, পৃ ১০২)

ইমাম শাফেয়ী (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, ‘যদি তোমরা আমার কোনো কথা হাদীসের সাথে গড়মিল দেখতে পাও, তাহলে তোমরা হাদীস অনুযায়ী আমল করো, আমার নিজের উক্তিকে দেয়ালে ছুড়ে ফেল’। (হুজ্জাতুল্লাহিল বালিগাহ; ১/৩৫৭)

ইমাম আহমদ ইবন হাম্বল (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, ‘তুমি আমার মাযহাবের অন্ধ অনুকরণ করো না। মালেক,শাফেয়ী,আওযায়ী,সাওরী-তাঁদেরও না; বরং তাঁরা যেখান থেকে(সমাধান) নিয়েছেন তুমিও সেখান থেকেই নাও’। (ইবনুল কাইয়িম রচিত ‘ঈলামুল মুওয়াক্কেয়িন; ২/৩০২)

আল্লাহ বলেছেন,
الَّذِينَ يَسْتَمِعُونَ الْقَوْلَ فَيَتَّبِعُونَ أَحْسَنَهُ ۚ أُولَٰئِكَ الَّذِينَ هَدَاهُمُ اللَّهُ ۖ وَأُولَٰئِكَ هُمْ أُولُو الْأَلْبَابِ
‘যারা মনোযোগ সহকারে কথা শোনে অতঃপর তার মধ্যে যা উত্তম তা অনুসরণ করে তাদেরকেই আল্লাহ হিদায়াত দান করেন আর তারাই বুদ্ধিমান।’। (সূরা আয-যুমারঃ ১৮)

Source: https://www.facebook.com/permalink.php?story_fbid=838821326292670&id=430622907112516

Allah knows best | আল্লাহই সবচেয়ে ভাল জানেন | الله اعلم