1. শিয়ারা মনে করে, আল্লাহ তাআলা জিবরীল আলাইহিস সালামকে ওয়াহী দিয়ে
পাঠিয়েছেন আলী রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহুর কাছে কিন্তু তিনি ভুল করে
ওয়াহী নিয়ে আসেন মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে।
كتاب المنيه و الامل
في شرح النحل والملل. صفحه ـ30
2. কুরআনের বিকৃতিতে বিশ্বাস।
অধিকাংশ শিয়া ইমাম বিশ্বাস করে যে, প্রচলিত কোরআন বিকৃত। সম্পূর্ণ কোরআন
আলী রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহুর নিকট ছিল, যা তিনি গোপন রেখেছেন।
এটা কেবল তার বংশের ইমামরাই জানতে পারে।( নাউযুবিল্লাহ)
كتاب التنبيه والرد ـ صفحه ـ25 للملطي
3. শিয়ারা বিশ্বাস করে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কুরআনের
কিছু অংশ মানুষের নিকট পৌঁছেছেন আর বাকি অংশ আলী রাদিয়াল্লাহু তা’আলা
আনহুর নিকট সোপর্দ করেছেন। যাতে তিনি পরবর্তীতে মানুষের নিকট পৌঁছে দিতে
পারেন।
تعليق شهاب الدين النجفي على إحقاق الحق للتستري ج2/ 288-289
4. শিয়াদের শায়েখরা বলে থাকে, তাদের ইমামদের কবরের নিকট হজ্ব করা কাবা
শরীফে হজ্ব করার চেয়ে অধিক গুরুত্বপূর্ণ এবং মর্যাদাপূর্ণ। নাউজুবিল্লাহ।
كتاب ثواب الأعمال وعقاب الأعمال ص 121-122 .
5. শিয়ারা বলে: যে হোসাইন রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু এর কবর জিয়ারত করল সে যেন আল্লাহর আরশে আল্লাহকেই জিয়ারত করল।
(তারা যা বলে তা থেকে আল্লাহ সুউচ্চ এবং পুতপবিত্র)
كتاب المزار المفيد ص51
6. শিয়ারা বলে হুসাইন রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু এর কবরের মাটি সমস্ত রোগের ওষুধ।
كتاب الأمالي ص 318 ح 93 .
7. শিয়ারা আল্লাহ তাআলা এবং তাদের ইমামদের মাঝে কোনরূপ পার্থক্য করে না। অর্থাৎ উভয়কে একই মর্যাদায় আসীন করে।
كتاب مصابيح الأنوار في حل مشكلات الأخبار ج2/ 397 ح 222
8. শিয়ারা বিশ্বাস করে, আলী রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু অদৃশ্যের খবর জানতেন।
ينظر كتاب مرآة الأنوار ص 59 للعاملي
9. তারা এও বিশ্বাস করে যে, দুনিয়া এবং আখেরাত পরিচালনার ক্ষেত্রে আলী রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু এর নিজস্ব কর্তৃত্ব রয়েছে।
ينظر كتابهم أصول الكافي ج1/ 308
10.শিয়াদের ধারণা অনুযায়ী আকাশে যে বিদ্যুৎ চমকায়, বজ্রপাত হয়, বিকট আওয়াজ সংঘটিত হয় সবই আলী রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু এর পক্ষ থেকে।
11. শিয়াদের শায়খরা বলে থাকে, আলী রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু মৃতকে জীবিত করার ক্ষমতা রাখেন।
ينظر كتاب أصول الكافي ج1/ 347
12. শিয়ারা বারো ইমামে বিশ্বাসী। আর বারো ইমামকে আল্লাহ তাআলার যে নাম ও
গুণাবলী রয়েছে সে নাম ও গুণাবলী দিয়ে তাদের বারো ইমামকেও বৈশিষ্ট্যমণ্ডিত
করে।
ينظر كتال أصول الكافي ج1/ 103
13. শিয়ারা বলে, আবু বকর,
ওমর, ওসমান, মুয়াবিয়া, আয়েশা, হাফসা রাদিয়াল্লাহু আনহুম কে প্রত্যেক
সালাতের পর যারা অভিসম্পাত করবে তাহারাই আল্লাহ তাআলার নিকটবর্তী হবে। বরং
তাদেরকে অভিশাপ দেওয়া আল্লাহ তাআলার নিকটবর্তী হওয়ার সবচেয়ে উত্তম একটি
মাধ্যম।
كتاب فروع الكافي ج3/ 224
14. তাদের আরেকটি আকিদা হলো, তাদের ইমামরা জান্নাতে প্রবেশ করানোর ক্ষেত্রে ক্ষমতা রাখে।
ينظر كتاب رجال الكشي ج5 / 490 -491
15. শিয়াদের মত হচ্ছে, আল্লাহ তাআলা ফেরেশতাদেরকে তাদের ইমামদের জুতি বা
নূর থেকে সৃষ্টি করেছেন। আর ফেরেশতারা যে দায়িত্ব পেয়েছে তা হোসাইন
রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু এর কবরে বসে বসে কাঁদার কারনে পেয়েছেন।
كتاب كنز جامع الفوائد ص 334 للكراجكي .
16. শিয়ারা বলে থাকে, ফেরেশতারা যখন ঝগড়ায় লিপ্ত হন তখন জিবরীল আলাইহিস
সালাম আলী রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহুর নিকট অবতরণ করে তাকে আসমানে নিয়ে
যান, যাতে করে তিনি ফেরেশতাদের মাঝে মীমাংসা করে দিতে পারেন।
ينظر كتاب الأختصاص ص٢١٣ للمفيد .
17. শিয়াদের শায়খ উলবা বিন দিরা’ আলী রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহুকে
মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর উপর মর্যাদা দিত। সে বলতো,
মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম কে মূলত পাঠানো হয়েছে আলী
রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু এর নবুওয়াতের দিকে আহ্বান করার জন্য। কিন্তু
তিনি আলী রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহুর দিকে আহ্বান না করে নিজের দিকেই
আহ্বান করতেন। তাদের এই ইমাম!! মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে
অনেক নিন্দা করতো।
ينظر كتاب بحار الأنوار ج ٢٥/٣٠٥ حاشية رقم١ .
18. খোমেনী তার কিতাব আল হুকুমাতুল ইসলামিয়া এর 52 পৃষ্ঠায় বলেছে, নিশ্চয়ই আমাদের ইমামগণের এমন একটি মর্যাদাপূর্ণ স্থান রয়েছে যেখানে কোনো নৈকট্য ফেরেস্তা পৌঁছাতে পারেনা এমনকি কোন নবী-রাসূলও সে মাকাম পর্যন্ত পৌঁছতে পারেনা।
19. তাদের এক ইমাম বলেছে, খোমেনী নাকি মুসা আলাইহিস সালাম এর থেকেও অধিক উত্তম।
كتاب الخميني والدولة الإسلامية ص١٠٧
20. শিয়ারা চারজন সাহাবী ব্যতীত বাকি সমস্ত সাহাবীকে মুরতাদ মনে করে।
كتاب الأنوار النعمانية ج١/٨١
21. খোমেনী তার রচিত কিতাব আল-হুকুমাতুল ইসলামিয়া এর 69 নাম্বার পৃষ্ঠায় বলেছে, সাহাবারা সকলেই মুনাফিক ছিলেন।
Source: https://www.facebook.com/omorfaruk.sadi/posts/1744357482355820
Keywords: Shia, Sia, Akidah, Akida
This site is NOT maintained or reviewed by any Islamic Scholar. Please cross-check any reference before acting upon it.
এই সাইটটি কোনও ইসলামিক আলেম দ্বারা পরিচালিত নয়। তাই আমল করার পূর্বে নিজে থেকে যাচাই করে নিন।